সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হিসেবে এমপির ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকার সময় আমি একটি ওয়ার্কিং পেপার লিখি যেখানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারে এমপির উপদেষ্টা ভূমিকা মূল্যায়ন সম্পর্কিত একটি অধ্যায় ছিল। সেই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশের জন্য একটি ছোট লেখা লিখেছি।

তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া কেবল গণতন্ত্রের সম্প্রসারণই নয় বরং এর সৌন্দর্যকেও বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে স্থানীয় সরকারের ধারণাটি এসেছে। জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে সরকারের সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উদ্ভব। আর এ জন্যই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের উর্বর ভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা লাভ করে যখন সর্বাধিক সংখ্যক প্রান্তিক ব্যক্তিসহ সব জনগণ গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষমতা থাকে এবং জবাব পেতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং জবাবদিহিতার একটি আদর্শ মডেল হিসেবে আরও বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছাতে পারে এবং তাদের চাহিদাগুলো শনাক্ত করতে পারে। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা আমলাতন্ত্র, স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতার পাচ্ছেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

স্থানীয় সরকার পরিষদ ও সাধারণ মানুষের মাঝে দূরত্ব কতটা বিদ্যমান এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, এসবও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ১৯৭০-৮০-র দশক-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় এবং উন্নয়ন কাঠামোয় যেভাবে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সে তুলনায় বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোয় ততটা পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালের মে মাসের জারিকৃত অধ্যাদেশ অনুসারে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নিুলিখিত স্তরগুলো বিদ্যমান: গ্রামাঞ্চল (ক) ইউনিয়ন পরিষদ (খ) উপজেলা পরিষদ (গ) জেলা পরিষদ; শহরাঞ্চল (ক) পৌরসভা ও (খ) সিটি করপোরেশন। তবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ স্তর হল উপজেলা পরিষদ। কারণ সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে উপজেলা পরিষদ কাজ করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের গোটা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এর অন্যতম প্রধান শর্ত হল স্থানীয় সরকার পরিষদকে স্বাধীনভাবে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ২৫ অনুচ্ছেদের বলা আছে, ১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর অধীন একক আঞ্চলিক এলাকা হইতে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হবেন এবং পরিষদ উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ করবে। ২. সরকারের সহিত কোনো বিষয়ে পরিষদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিষদকে উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত রাখতে হবে।

আবার উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯-এর ৪২(৩) অনুচ্ছেদে ‘পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্যর সঙ্গে স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করার অনুমতি দেয়।’ এসব আইন অনুযায়ী, উপদেষ্টা হিসেবে একজন সংসদ সদস্যের উচিত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। সর্বোপরি, স্থানীয় সরকার পরিষদকে বিভিন্ন পরামর্শদানের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা।

উপজেলা পরিষদ ২০০৯ আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যের ভূমিকা বিরোধপূর্ণ নয় বরং সংসদ সদস্য তার নিজ এলাকার স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় উন্নয়নের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কী লক্ষ করা যায়? স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডে যাতে গতিশীলতা বজায় থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য যথাযথ সহযোগিতা করবেন- এটাই কাম্য।

উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে কোনো সংসদ সদস্যের কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হলে এর ফলে নানা রকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে যার কারণে উপজেলা সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, স্কুল-কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সরকারি টিউবওয়েল, কাবিখা, ভিজিডি ও ভিজিএফ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য কতটা হস্তক্ষেপ করেন এটাও বিভিন্ন আলোচনায় আসে। বস্তুত সংসদ সদস্যদের পরামর্শ ও আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের বিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এতে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের শাস্তিপূর্ণ সম্পর্ক যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান- তারা একই ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কোনো সংসদ সদস্য অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ করলে সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার প্রকৃত সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আদর্শ মডেল প্রতিষ্ঠিত করতে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা সব ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করবেন- এটাই প্রত্যাশিত।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল স্থানীয় সরকারের কমিটিগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে একই সুতোয় গাঁথতে স্থানীয় সরকার পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

এসডিজির অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং তদনুসারে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ক্ষমতা, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং সরকার ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিয়মিত আর্থিক আলোচনার সঙ্গে একটি সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবনী এবং সামগ্রিক কৌশলগুলিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সম্প্রসারণের জন্য উত্সাহিত করতে হবে এবং দরিদ্রদের জন্য আয়-উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদানের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে এমপিকে তার নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সরকার সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।

মোটকথা, স্থানীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের অংশীদাররূপে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু স্থানীয় উন্নয়নই দেশের সার্বিক উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে। আশা করা যায়, গত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেসব বাস্তবায়নে তারা অধিকতর যত্নশীল হবেন।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad

সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার (৬ মে) টিআইবির ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বলে মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন দলীয় হলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটি স্থানীয় প্রার্থীদের আটকাতে পারেনি। আগ্রহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন।

টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন- ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন তালিকায়।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

টিআইবি জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশ। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৬.৫৯ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪.৩৭ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫২ শতাংশই নিজেকে গৃহিণী গৃহস্থালি কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। আয় নেই ১২ শতাংশের, ৩৯ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস দেখাননি।

৫ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮২৩ শতাংশ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪২৫১ শতাংশ।

স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১২৪০ শতাংশ। ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে এ হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়েছে ৪২০০ শতাংশের বেশি।

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন এক পাষণ্ড মা। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলেকে ডান্ডেলি তালুক নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে। রোববার (৫ মে) পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

জন্মের পর থেকে বড় ছেলে কোনো সাড়া শব্দ করেনি। এ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই মারামারি এবং ঝগড়া হতো। তাদের দুই বছরের আরও এক ছেলে রয়েছে।

সাবিত্রীর ২৭ বছর বয়সী সামী প্রায়ই তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। কেন সে প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম দিয়েছে তার জন্য তাকে মারধরও করা হতো। কখনও কখনও তার স্বামী ছেলেকে ফেলে দিতে বলত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে সাবিত্রী ছেলেকে বাধ্য হয়ে নদীতে পেলে দেয়। ওই নদীতে কুমির রয়েছে।

প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে ওই নদীতে তল্লাশি চালায় হয়। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে দিন রোববার সকালে পুলিশ ওই ছেলেটির ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র: এনডিটিভি

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু
হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ